এ কি আজ এত্ত notification কোথা থেকে? এত দেখছি আমার প্রোফাইলে একেবারে ঝড় বইয়ে দিয়ে গেছে!
কে এই ছেলে! নাম টাও বড্ড অদ্ভুত *অচিন ছেলে* মনে তো হচ্ছেনা আমি চিনি ওকে। fb তে ঢুকেই ভাবতে বসলো জুই। ও মা,ছেলেটা দেখছি inbox ও করেছে আবার!
"দয়া করে এই অদমের request টা accept করলে নিজেকে ধন্য মনে করতাম"
কিন্তু কে আপনি? জানতে চাইলো জুই।
_অচিন ছেলে
_চেনা হওয়ার কি খুব বেশি প্রয়োজন?
_না,তেমন প্রয়োজন নেই আর আপনি যদি না চান সেক্ষেত্রে তো প্রশ্নই উঠে না
_ঠিক আছে,বাই
_হুম
ছেলেটা একটু ও জোর করলো না আর আমার কথাও মেনে নিল।হুম ছেলেটা কে একটু ভাল বললে খুব বেশি দোষের হবেনা! এসব ভেবে কি যেন বুঝতে পেরে request টা accept করে নিল। জুই online গেলেই দেখে ছেলেটাও আছে,কিন্তু তাকে কিছু জিজ্ঞেস করছেনা।
হঠাত একটা মেসেজ আসলো, রাত তখন ১২:০১
_happy birthday জুই
_thanx, আপনি কিভাবে জানেন?
_প্রিয় মানুষদের খবর রাখতে হয়
_আমি আপনার প্রিয় কেউ?
_ জানিনা তবে... আপনার বার্থডে তে শুভেচ্ছা না জানিয়ে পারলাম না
৫মিনিট পর
_হুম
_আপনাকে কি বিরক্ত করলাম? sorry
_না না কি বলছেন! বিরক্ত করবেন কেন!
_হুম
_নাম কি আপনার?
_সাধারন মানুষের নাম জেনে কি করবেন,আমি অতি ক্ষুদ্র একজন
_আহহা বলেন না!
_রবিন,আপনার নাম টা খুব সুন্দর, জানিনা নামের মানুষটি কত সুন্দর হবে-তা কেবল ঐ সৃষ্টিকর্তাই হয়ত জানে
_একটু বেশি বলে ফেলছেন না! আপনার নাম টাও খুব সুন্দর
_হুম
এভাবে প্রতিদিন যেন তাদের মধ্যের কথার ঝুরি বেড়েই চলেছে,ধিরে ধিরে আপনি থেকে তুমি তে চলে আসলো..
রবিনের privacy save রাখার মনোভাব,কথা বার্তার style, nice attitude সবই যেন জুই এর সহজ সরল মনটাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে...
online এ এখনো এত ভাল ছেলে থাকতে পারে!
রবিনের প্রতি দুর্বলতা টা বেড়ে যাচ্ছে দিন দিন,,,
প্রায় ৫মাস কেটে গেল এভাবে।
এতদিন হয়ে গেল অথচ একবারের জন্যেও আমাকে দেখার আগ্রহ দেখালো না,না এই ছেলে খারাপ হতে পারে না,আমি ওকে ভালবেসে ফেলেছি।
_তুমার কি কোনো মেয়েকে পছন্দ হয়? i mean তুমি কাউকে ভালবাস?
ভয়ে ভয়ে জানতে চাইলো জুই,
_হুম বাসি,অনেক ভালবাসি এক রাজকন্যাকে
_(নরম সুরে) হুম ভাল
_আর কিছু জানতে চাওনা?
_না,আর জেনে কি করব,তুমরা সুখে থেকো,pray করি
_ঐ মেয়ের নাম জানতে চাওনা?
_না
_তবু আমি বলব
_না
_i love you...
_ তুমি না অন্য কাউকে ভালবাসো?
_আমি যে তুমাকে ভালবাসি
জুই এত আনন্দ আর কখনো পায়নি।
ফ্রেন্ডস দের এটা বললে,ওরা কেউ খুশী হল না,উল্টা ওকে বুঝালো,দেখ জুই-net এর ছেলেরা চিটার হয়,ওরা কখনো ভাল হয় না,ওদের ভালবেসে কষ্ট পাস না। কোনো কিছুই যেন ওকে ছুতে পারলোনা বরং মনটাকে বুঝালো -আমি ওকে বিশ্বাস করি,নিজের থেকেও বেশি ভালবাসি,ও কখনো আমাকে ঠকাতে পারে না।
না,আর না,এইবার ওর সাথে দেখা করতেই হবে।
জুই সিলেট থাকে, মাত্র ইন্টারমিডেট শেষ করলো। আর রবিন থাকে ঢাকা সাভার। অনার্স দ্বিতীয় বছরে পা দিল....
_আচ্ছা আমরাতো এখনো কেউ কাউকে দেখিনি
_সাথে সাথেই একটা পিক দিল রবিন,তুমারটা ও দাও
_(মনে হচ্ছে যেন রাজকুমার) তুমাকে পুরো রাজপুত্র এর মত লাগছে
_ধন্যবাদ,এইবার কি আমার রাজকন্যাকে দেখিতে পারি?
_না,আমাকে সরাসরিই দেখবে
_জু হুকুম মহারানী
_সামনে আমার ঢাকা ভার্সিটি তে ভর্তি পরিক্ষা,আমি যদি আসি,দেখা করতে পারবে
_তুমার জন্যে আমি জিবনও দিতে পারবো
দেখতে দেখতে সে দিন চলে এলো
_হ্যালো
_তুমি কাল কখন আসছো
_বাহ বাহ বাবুর যেন তর সইছেনা মনে হচ্ছে
_হুম,বলো না কখন আসবে?
_সাথে মামা থাকবে,আজ রাতে রওনা দিলে কাল সকালে ওখানে থাকব
মাথায় যেন আকাশ ভেংগে পড়ল রবিনের
_what,কি বলছো? উনি থাকলে আমি আসবো না কিন্তু
_আচ্ছা ঠিক আছে বাবা,আমি একাই আসবো
_শুনো আমি আজ একটু ব্যস্ত আছি,কাল কথা বলবো, ওকে জানু বাই,তারাতারি আসো প্লিজ
পোছে বারবার ফোন দিচ্ছে জুই,কিন্তু ও রিসিভ করছেনা কেন? ভেবে মনটা খারাপ করে দিল জুই
বিকেল বেলা,প্রায় সন্ধ্যে হঠাত একটা মেসেজ- তুমি শহীদ মিনারের কাছে আসো সোনা,আমার একটা ফ্রেন্ড তোমাকে আমার কাছে নিয়ে আসবে। কিছু একটা মনে দাগ কাটলো।
_মানে? এই সন্ধ্যে আমাকে আসতে বলছো?আর তুমার ফ্রেন্ড রিসিভ করবে মানে কি এসবের?
_প্লিজ রাগ করো না,আমি হসপিটাল আছি,তুমাকে আমার ঐ ফ্রেন্ড আমার কাছে নিয়ে আসবে প্লিজ আসো নইলে যে আমাদের আর দেখা হবেনা emotional হয়ে পড়ল জুই, ঠিক আছে তুমি চিন্তা করো না,আসছি আমি।।।
কথামত তার ফ্রেন্ড এর সাথে দেখা হলো,গাড়ি চলছে,রাত ৮টা বাজে।
_ভাইয়া আর কতদুর,আমাকে আবার ফিরতে হবে যে?
_চিন্তা করবেন না,খুব শিঘ্রই পোছে যাবো
জুই এর মনে খটকা বেধে গেল, রবিন কে বারবার কল দিচ্ছে
_ভাইয়া,ও আমার কল রিসিভ করছেনা,আপনি একটু দেখবেন?
_চিন্তা করো না,চলে আসছি
বাইরে তিনটা ছেলে,দেখেই ভয় লাগছে জুই এর।
একটা বাড়িতে ঢুকলো,এত মানুষ কেন এখানে? জানতে চাইলো জুই।
কোনো উত্তর নেই,
দু তলায় উঠলো, একটা রুমে জুই কে নিয়ে গেল।
কিছুটা আবাশ যেন পেয়েই গেল। কখন যে ওর ফোনটা হাত থেকে নাই হয়ে গেল টের ও পেলো না।
একটু পর যখন বাজে ড্রেস পড়া ২টা মেয়ে আসলো ওর কাছে ওকে রেডি করার জন্যে..
আর বুঝতে বাকি রইল না।
কিচ্ছু করার নেই এখন আর আফসোস ছাড়া।
কে এই ছেলে! নাম টাও বড্ড অদ্ভুত *অচিন ছেলে* মনে তো হচ্ছেনা আমি চিনি ওকে। fb তে ঢুকেই ভাবতে বসলো জুই। ও মা,ছেলেটা দেখছি inbox ও করেছে আবার!
"দয়া করে এই অদমের request টা accept করলে নিজেকে ধন্য মনে করতাম"
কিন্তু কে আপনি? জানতে চাইলো জুই।
_অচিন ছেলে
_চেনা হওয়ার কি খুব বেশি প্রয়োজন?
_না,তেমন প্রয়োজন নেই আর আপনি যদি না চান সেক্ষেত্রে তো প্রশ্নই উঠে না
_ঠিক আছে,বাই
_হুম
ছেলেটা একটু ও জোর করলো না আর আমার কথাও মেনে নিল।হুম ছেলেটা কে একটু ভাল বললে খুব বেশি দোষের হবেনা! এসব ভেবে কি যেন বুঝতে পেরে request টা accept করে নিল। জুই online গেলেই দেখে ছেলেটাও আছে,কিন্তু তাকে কিছু জিজ্ঞেস করছেনা।
হঠাত একটা মেসেজ আসলো, রাত তখন ১২:০১
_happy birthday জুই
_thanx, আপনি কিভাবে জানেন?
_প্রিয় মানুষদের খবর রাখতে হয়
_আমি আপনার প্রিয় কেউ?
_ জানিনা তবে... আপনার বার্থডে তে শুভেচ্ছা না জানিয়ে পারলাম না
৫মিনিট পর
_হুম
_আপনাকে কি বিরক্ত করলাম? sorry
_না না কি বলছেন! বিরক্ত করবেন কেন!
_হুম
_নাম কি আপনার?
_সাধারন মানুষের নাম জেনে কি করবেন,আমি অতি ক্ষুদ্র একজন
_আহহা বলেন না!
_রবিন,আপনার নাম টা খুব সুন্দর, জানিনা নামের মানুষটি কত সুন্দর হবে-তা কেবল ঐ সৃষ্টিকর্তাই হয়ত জানে
_একটু বেশি বলে ফেলছেন না! আপনার নাম টাও খুব সুন্দর
_হুম
এভাবে প্রতিদিন যেন তাদের মধ্যের কথার ঝুরি বেড়েই চলেছে,ধিরে ধিরে আপনি থেকে তুমি তে চলে আসলো..
রবিনের privacy save রাখার মনোভাব,কথা বার্তার style, nice attitude সবই যেন জুই এর সহজ সরল মনটাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে...
online এ এখনো এত ভাল ছেলে থাকতে পারে!
রবিনের প্রতি দুর্বলতা টা বেড়ে যাচ্ছে দিন দিন,,,
প্রায় ৫মাস কেটে গেল এভাবে।
এতদিন হয়ে গেল অথচ একবারের জন্যেও আমাকে দেখার আগ্রহ দেখালো না,না এই ছেলে খারাপ হতে পারে না,আমি ওকে ভালবেসে ফেলেছি।
_তুমার কি কোনো মেয়েকে পছন্দ হয়? i mean তুমি কাউকে ভালবাস?
ভয়ে ভয়ে জানতে চাইলো জুই,
_হুম বাসি,অনেক ভালবাসি এক রাজকন্যাকে
_(নরম সুরে) হুম ভাল
_আর কিছু জানতে চাওনা?
_না,আর জেনে কি করব,তুমরা সুখে থেকো,pray করি
_ঐ মেয়ের নাম জানতে চাওনা?
_না
_তবু আমি বলব
_না
_i love you...
_ তুমি না অন্য কাউকে ভালবাসো?
_আমি যে তুমাকে ভালবাসি
জুই এত আনন্দ আর কখনো পায়নি।
ফ্রেন্ডস দের এটা বললে,ওরা কেউ খুশী হল না,উল্টা ওকে বুঝালো,দেখ জুই-net এর ছেলেরা চিটার হয়,ওরা কখনো ভাল হয় না,ওদের ভালবেসে কষ্ট পাস না। কোনো কিছুই যেন ওকে ছুতে পারলোনা বরং মনটাকে বুঝালো -আমি ওকে বিশ্বাস করি,নিজের থেকেও বেশি ভালবাসি,ও কখনো আমাকে ঠকাতে পারে না।
না,আর না,এইবার ওর সাথে দেখা করতেই হবে।
জুই সিলেট থাকে, মাত্র ইন্টারমিডেট শেষ করলো। আর রবিন থাকে ঢাকা সাভার। অনার্স দ্বিতীয় বছরে পা দিল....
_আচ্ছা আমরাতো এখনো কেউ কাউকে দেখিনি
_সাথে সাথেই একটা পিক দিল রবিন,তুমারটা ও দাও
_(মনে হচ্ছে যেন রাজকুমার) তুমাকে পুরো রাজপুত্র এর মত লাগছে
_ধন্যবাদ,এইবার কি আমার রাজকন্যাকে দেখিতে পারি?
_না,আমাকে সরাসরিই দেখবে
_জু হুকুম মহারানী
_সামনে আমার ঢাকা ভার্সিটি তে ভর্তি পরিক্ষা,আমি যদি আসি,দেখা করতে পারবে
_তুমার জন্যে আমি জিবনও দিতে পারবো
দেখতে দেখতে সে দিন চলে এলো
_হ্যালো
_তুমি কাল কখন আসছো
_বাহ বাহ বাবুর যেন তর সইছেনা মনে হচ্ছে
_হুম,বলো না কখন আসবে?
_সাথে মামা থাকবে,আজ রাতে রওনা দিলে কাল সকালে ওখানে থাকব
মাথায় যেন আকাশ ভেংগে পড়ল রবিনের
_what,কি বলছো? উনি থাকলে আমি আসবো না কিন্তু
_আচ্ছা ঠিক আছে বাবা,আমি একাই আসবো
_শুনো আমি আজ একটু ব্যস্ত আছি,কাল কথা বলবো, ওকে জানু বাই,তারাতারি আসো প্লিজ
পোছে বারবার ফোন দিচ্ছে জুই,কিন্তু ও রিসিভ করছেনা কেন? ভেবে মনটা খারাপ করে দিল জুই
বিকেল বেলা,প্রায় সন্ধ্যে হঠাত একটা মেসেজ- তুমি শহীদ মিনারের কাছে আসো সোনা,আমার একটা ফ্রেন্ড তোমাকে আমার কাছে নিয়ে আসবে। কিছু একটা মনে দাগ কাটলো।
_মানে? এই সন্ধ্যে আমাকে আসতে বলছো?আর তুমার ফ্রেন্ড রিসিভ করবে মানে কি এসবের?
_প্লিজ রাগ করো না,আমি হসপিটাল আছি,তুমাকে আমার ঐ ফ্রেন্ড আমার কাছে নিয়ে আসবে প্লিজ আসো নইলে যে আমাদের আর দেখা হবেনা emotional হয়ে পড়ল জুই, ঠিক আছে তুমি চিন্তা করো না,আসছি আমি।।।
কথামত তার ফ্রেন্ড এর সাথে দেখা হলো,গাড়ি চলছে,রাত ৮টা বাজে।
_ভাইয়া আর কতদুর,আমাকে আবার ফিরতে হবে যে?
_চিন্তা করবেন না,খুব শিঘ্রই পোছে যাবো
জুই এর মনে খটকা বেধে গেল, রবিন কে বারবার কল দিচ্ছে
_ভাইয়া,ও আমার কল রিসিভ করছেনা,আপনি একটু দেখবেন?
_চিন্তা করো না,চলে আসছি
বাইরে তিনটা ছেলে,দেখেই ভয় লাগছে জুই এর।
একটা বাড়িতে ঢুকলো,এত মানুষ কেন এখানে? জানতে চাইলো জুই।
কোনো উত্তর নেই,
দু তলায় উঠলো, একটা রুমে জুই কে নিয়ে গেল।
কিছুটা আবাশ যেন পেয়েই গেল। কখন যে ওর ফোনটা হাত থেকে নাই হয়ে গেল টের ও পেলো না।
একটু পর যখন বাজে ড্রেস পড়া ২টা মেয়ে আসলো ওর কাছে ওকে রেডি করার জন্যে..
আর বুঝতে বাকি রইল না।
কিচ্ছু করার নেই এখন আর আফসোস ছাড়া।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন