শুক্রবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৬

আজকের সমাজ

বাস্তবিক পক্ষে আমরা অধিকাংশ ব্যক্তিই এখন জানতে নয়,বরং কিছু জানি যে এটা জানাতেই লজ্জা বোধ করি।
ধর্মে মুসলিম সবাই,কাউকে রাতের আধারে নির্জনে খুন করতে গেলেও একবারের জন্যে হলেও আমাদের আল্লাহ'র কথা স্মরণ হয়,
সেটা হোক ইচ্ছা কিংবা অনিচ্ছাকৃত।
যে মানুষটি কখনো মসজিদের দিকে পা বাড়ায়নি,ওখানে কি হয় সে ব্যাপারেও অনিশ্চিত,যে জানে না আল্লাহ আসলেই কি, সে মানুষটিও বিপদে পড়লে *আল্লাহ আমাকে বাঁচাও* কথাটি চিতকার করে বলে ঊঠে।।

কারন একটাই-আমাদের রক্তও জানে তার সৃষ্টিকর্তা কে!
এখন আসি মুল কথায়-
আজ বাইরে গেলাম একটা কাজে,
বাসে উঠলাম।
পাশের সিটে একটা মেয়ে বসে,
দেখতে এতটাই সুন্দরী যে আমি মেয়ে হয়েও ওকে দেখার আগ্রহটা কমাতে পারলাম না।
পরনে জিন্স,গায়ে একটা গেঞ্জি
খুব ভাল করে মেয়েটাকে দেখতে পারলামনা কারন তাকাতে লজ্জা লাগছিল
বাসটা ছাড়ছে না,কারন মানুষ এখনো অনেক বাকি।
একটু পর মেয়ের ২টা ফ্রেন্ডস আসলো,
গাছের একটা ফল দেখেই বাকি গুলো চেনা যায়,তাই ঐ ২টারে চিনতে আর বাকি রইল না কিছু।
ফ্রেন্ডস এসেই-
দোস্ত তরে তো চরম লাগতাছে আজ,
তর বি এফ তো চোখ ই ফিরাইতে পারবোনা আজ,
একটু সামলে দোস্ত।।।
হুম,মেয়েটি ও তার লাল লিপস্টিক এ রাংগায়িত ঠোট দিয়ে দিল একটা মুচকি হাসি।
সামনের স্টাফ এ আসলো বি এফ,
ডিজিটাল আগুনের গোলা আর ডিজিটাল বোমা যারে কয়!
উঠেই আমাকে বলল -আপু আপনি একটু ঐ পাশে যাবেন প্লিজ
_ভাইয়া দেখছেন ইত জায়গা নাই
হাহাহাহা এই না হলে নারীর টান!
ছেলেটার কাছেই মেয়ে চলে গেল।
*
এখান থেকে বুঝলাম যে,হুম আজ মেয়েদের সেই সমান অধিকার আদায় হচ্ছে যার জন্যে বেগম রোকেয়া,মাদার তেরেসার মত ব্যক্তিত্বরা একদিন সোচ্চার হয়েছিলেন,
কাগজে কলমে নিজেদের অধিকার কে সমান করে নিয়েছেন।
হায়রে সমান অধিকার,
মেয়েদের মন মানুসিকতা এতটাই উদার যে ওরা এখন সাথে নয়,আগে যেতে চায়
সবার আগে।
তাই তো এখন ছেলেদের পোশাক পরতে হয়,একা চলতে শিখতে হয়, সাহসী মেয়ে হতে হয়।।।
আর কার ই বা দোষ দেব!
ছেলেরা কম কোথায়!
নিজের বউ একটু unsmart হলে আজকালকার সেই আগুনের গোলাদের লজ্জা হয়,বউয়ের দিকে তাকাতেও ওদের রুচিতে বাধে,ফ্রেন্ডস দের সামনে নিতে কারপন্য করে,অন্য মেয়েকে নিয়ে বউ এর অভাব পুরন করে
অবিশেষ মেয়েদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাদের রুপলাবন্য বাইরে দেখিয়ে চলতে হয়,
কিন্তু দায় সেই মেয়েদের উপরই।
'
এইবার আসুক বাবা মার কথা-কোথাও অনুষ্ঠানে মেয়েকে সাথে নিয়ে গেলে যদি একদিন নরমাল সাজ দিতে পারে,উনাদের তো লজ্জাই হয় ঐ মেয়েকে সবার সামনে তাদের বলে স্বীকৃতি দিতে।

বাধ্য হয়ে মেয়েদের আজ এই অবস্থা এটা কেউ স্বীকার করুক আর না করুক
'
ইতিহাস আমরা সবাই জানি হোক সেটা বই পড়ে কিংবা নানা নানী,দাদা দাদি অথবা বাবা মার কাছ থেকে গল্প আকারে
সেখানে অবশ্যই বলা আছে-মেয়েরা আগে ঘরে বন্ধি ছিল,বোরকা পড়ত,লজ্জা বোধ ছিল অন্য কারো সাথে কথা বলতে,আর অচেনা মানুষ তো অনেক দুরের কথা-কারন স্বামী শ্বাশুরি এটা কখনোই সাপোর্ট করত না
তাহলে আজ মেয়েদের এ অবস্থা কেন?
জন্মের পর বাবা মা থেকে শুরু করে,বিয়ের পর স্বামী আধুনিকা মেয়ে আর আধুনিকা বউ চায়
অথচ একটা আধুনিকা মেয়ে যখন রাস্তা দিয়ে হেটে যায়,হাজার জন হাসি তামাশা করে
এখন প্রশ্ন-ঐ সমাজে কি বাবা মা আর স্বামী নেই? ওরা কি সমাজের বাইরে?
আজ এত লজ্জা কিসের ওদের?
'
যখন খারাপ একটা মেয়ে,অভদ্র একটা নারী ভাল হওয়ার জন্যে পদক্ষেপ নিবে তখন সমাজ তাকে বলবে-এতদিন খারাপ হয়ে স্বাদ মেটেনি আজ আবার স্বাদু সেজেছে
হ্যা,সমাজ এটাই বলে,সমাজের হাত পা কিংবা মুখ নেই,আপনার মুখ দিয়েই সে বলে।
এতে মেয়েটার উপর কিরুপ প্রভাব পড়ে তা খারাপ হলেও ঠিক করছে।
'
এইবার আসুন বন্ধু দের কথায়-
আজকাল নাম নামক বন্ধু হাজার রয়েছে,সত্যি বন্ধু কয়টা আছে?
আধুনিকা মেয়ে,আধুনিক ছেলে ফ্রেন্ড থাকলে এখন এটা অহংকার।
যে ছেলে বা মেয়ে বলবে-প্রেম কর নইলে জিবন তেজ পাতা,আড্ডার মাঝে থাক,সবসময় এঞ্জয় কর,জিবনত একটাই
ওরা কখনো ফ্রেন্ড না,ওরা আপনার সবচেয়ে বড় শত্রু। সমস্যা তো এই জায়গা তেই যে আমরা বন্ধু শত্রু ই চিনিনা
'
এটাই বাস্তবতা যা মেনে নেওয়াই কষ্টের

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন