সময় রাত ১২.২০
নেহা রুমে একা বসে, কিছুটা অন্ধকার, অনেকটা গুছানো পুরো বিছানা ফুল দিয়ে ঢাকা,হে নেহার প্রিয় ফুল গোলাপ দিয়ে। মনে গভীর আতংক, প্রচন্ড ভয়, একটু ভাল লাগা শিহরণ। সব কিছু মিলেয়ে নেহা অনেক চিন্তিত। তার সে অপেক্ষা আজ ফুরিয়ে এলো বলে, ছোট থেকে মায়ের সেই রাজকুমারের গল্প শুনতে শুনতে কখন যে নেহা তার মনের মাঝে সেই অচেনা রাজকুমার এর জন্যে অপেক্ষার বাসনা লালন করতে শুরু করেছে তা নিজেও জানে না স্কুল কলেজের ফ্রেন্ডসদের আড্ডার মধ্য থেকে ভেসে আসা সেরা মুহুর্তটির কথা যা এতদিন শুধু শুনে এসেছে, আজ কি তাহলে আমার জিবনেও সে মুহুর্ত চলে আসলো!
ভাবতে লাগলো নেহা...
স্কুল পেরিয়ে, কলেজে পা রাখার পর থেকেই নেহার পরিবার বিয়ে দেওয়ার জন্যে ব্যস্ত। কলেজের গন্ডি কোনো ভাবে পেরিয়ে ভার্সিটির সীমানায় আর পা রাখা হল না। ব্যবসায়ীক,দেখতে সুদর্শন,ভাল রিপুটেশন এমন পাত্র কে ই বা হাত ছাড়া করে পরে আফসোস এর মালা গলায় দেবে!
নেহার হার্টবিট বেড়ে দ্বিগুণ, অমিকে তার দুজন ফ্রেন্ড রুমে নিয়ে এলো। তাহলে কি নেহার সেই বহু আকাংখিত মুহুর্ত এসে গেল! সব কিছু ভুলে যা পেয়েছিস তাকে নিয়ে সুখে থাকার চেস্টা কর" অমিকে তার ফ্রেন্ডরা এটা বলেই চলে গেল।
নেহা বুঝতে পারলোনা, অমি দরজা বন্ধ করলো'
নেহার কাছে এসে বসল।
-তোমাকে আমার কিছু বলার আছে
-জ্বি বলুন
-আমি তোমার সাথে অনেক বড় অন্যায় করে ফেললাম।
-কেন বলছেন এটা? আপনি আমার স্বামী, পরম করুনাময়,আমাদের ইবাদাতের একমাত্র যোগ্য সেই মহান আল্লাহ কে সাক্ষী রেখে বলছি আপনার কোনো অন্যায়কে আমি মনে লালন করবো না,আপনার অন্যায় আমার কাছে এতটাই হাল্কা বস্তুর ন্যায় যা গাছ থেকে একটা শুকনো পাতা মাটিতে পড়ার আগেই মিশে যাবে হাওয়ার মধ্যে।
-আমি একটা মেয়েকে ভালবাসতাম, তাকে এখনো বাসি, আমার প্রতিটা মুহুর্ত তাকে ঘিরে, আমি মারা যাওয়ার পুর্ব মুহুর্ত অবধি তাকে ভালবেসে যাওয়ার অংগীকার বদ্ধ।
-হুম (স্তব্ধ নেহা,অপলকে শুনে যাচ্ছে)
-আমার পরিবারের প্রতিটা সদস্য আমাকে জন্মের পর থেকে আজ অবধি যতটা দিয়েছে তা হয়ত আল্লাহ আমাকে আরো ২টা জন্ম দিলেও শোধ করার ক্ষমতা আমার হবে না, আজ আমি এখানে শুধু উনাদের দোয়ায় ও আল্লাহর অশেষ রহমতে।
-(চোখে পানি) আপনি এখন কি চাচ্ছেন?
-নিজেকে বাবা মায়ের বাধ্য সন্তান হিসেবে সুপরিচিতি দেওয়ার জন্যে আজ তোমাকে এখানে পেয়েছি যেখানে বিবেক শুধু আমাকে ধিক্কার জানাচ্ছে, জীবনের সেরা মুহুর্তটা তে আজ তোমাকে সেরা দুঃখটা আমি দিচ্ছি যে তোমার কল্পনাকে ঘিরে বসেছিলো।
-আমি ধন্য আপনাকে আমার জিবনসংগীনি হিসেবে পেয়ে, আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া যিনি আমার জিবনে এমন কাউকে দিয়েছে যে সম্মুখ অন্ধকার দেখেও আলোহীন এগোতে ভয় পান না
-আমাকে তুমি ক্ষমা করে দিও, স্বামী হিসেবে তোমাকে কিছুই....
নেহা থামিয়ে দিল।
-আপনাকে আর কিছু বলতে হবেনা, অনেক রাত হয়েছে (বিছানা গুছাচ্ছে), ঘুমিয়ে পড়ুন
-আর তুমি?
-ঘুমাবো, আপনি গুমিয়ে পড়ুন
(২ রাকাত নামায পড়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, তারপর নেহা...)
নেহা রুমে একা বসে, কিছুটা অন্ধকার, অনেকটা গুছানো পুরো বিছানা ফুল দিয়ে ঢাকা,হে নেহার প্রিয় ফুল গোলাপ দিয়ে। মনে গভীর আতংক, প্রচন্ড ভয়, একটু ভাল লাগা শিহরণ। সব কিছু মিলেয়ে নেহা অনেক চিন্তিত। তার সে অপেক্ষা আজ ফুরিয়ে এলো বলে, ছোট থেকে মায়ের সেই রাজকুমারের গল্প শুনতে শুনতে কখন যে নেহা তার মনের মাঝে সেই অচেনা রাজকুমার এর জন্যে অপেক্ষার বাসনা লালন করতে শুরু করেছে তা নিজেও জানে না স্কুল কলেজের ফ্রেন্ডসদের আড্ডার মধ্য থেকে ভেসে আসা সেরা মুহুর্তটির কথা যা এতদিন শুধু শুনে এসেছে, আজ কি তাহলে আমার জিবনেও সে মুহুর্ত চলে আসলো!
ভাবতে লাগলো নেহা...
স্কুল পেরিয়ে, কলেজে পা রাখার পর থেকেই নেহার পরিবার বিয়ে দেওয়ার জন্যে ব্যস্ত। কলেজের গন্ডি কোনো ভাবে পেরিয়ে ভার্সিটির সীমানায় আর পা রাখা হল না। ব্যবসায়ীক,দেখতে সুদর্শন,ভাল রিপুটেশন এমন পাত্র কে ই বা হাত ছাড়া করে পরে আফসোস এর মালা গলায় দেবে!
নেহার হার্টবিট বেড়ে দ্বিগুণ, অমিকে তার দুজন ফ্রেন্ড রুমে নিয়ে এলো। তাহলে কি নেহার সেই বহু আকাংখিত মুহুর্ত এসে গেল! সব কিছু ভুলে যা পেয়েছিস তাকে নিয়ে সুখে থাকার চেস্টা কর" অমিকে তার ফ্রেন্ডরা এটা বলেই চলে গেল।
নেহা বুঝতে পারলোনা, অমি দরজা বন্ধ করলো'
নেহার কাছে এসে বসল।
-তোমাকে আমার কিছু বলার আছে
-জ্বি বলুন
-আমি তোমার সাথে অনেক বড় অন্যায় করে ফেললাম।
-কেন বলছেন এটা? আপনি আমার স্বামী, পরম করুনাময়,আমাদের ইবাদাতের একমাত্র যোগ্য সেই মহান আল্লাহ কে সাক্ষী রেখে বলছি আপনার কোনো অন্যায়কে আমি মনে লালন করবো না,আপনার অন্যায় আমার কাছে এতটাই হাল্কা বস্তুর ন্যায় যা গাছ থেকে একটা শুকনো পাতা মাটিতে পড়ার আগেই মিশে যাবে হাওয়ার মধ্যে।
-আমি একটা মেয়েকে ভালবাসতাম, তাকে এখনো বাসি, আমার প্রতিটা মুহুর্ত তাকে ঘিরে, আমি মারা যাওয়ার পুর্ব মুহুর্ত অবধি তাকে ভালবেসে যাওয়ার অংগীকার বদ্ধ।
-হুম (স্তব্ধ নেহা,অপলকে শুনে যাচ্ছে)
-আমার পরিবারের প্রতিটা সদস্য আমাকে জন্মের পর থেকে আজ অবধি যতটা দিয়েছে তা হয়ত আল্লাহ আমাকে আরো ২টা জন্ম দিলেও শোধ করার ক্ষমতা আমার হবে না, আজ আমি এখানে শুধু উনাদের দোয়ায় ও আল্লাহর অশেষ রহমতে।
-(চোখে পানি) আপনি এখন কি চাচ্ছেন?
-নিজেকে বাবা মায়ের বাধ্য সন্তান হিসেবে সুপরিচিতি দেওয়ার জন্যে আজ তোমাকে এখানে পেয়েছি যেখানে বিবেক শুধু আমাকে ধিক্কার জানাচ্ছে, জীবনের সেরা মুহুর্তটা তে আজ তোমাকে সেরা দুঃখটা আমি দিচ্ছি যে তোমার কল্পনাকে ঘিরে বসেছিলো।
-আমি ধন্য আপনাকে আমার জিবনসংগীনি হিসেবে পেয়ে, আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া যিনি আমার জিবনে এমন কাউকে দিয়েছে যে সম্মুখ অন্ধকার দেখেও আলোহীন এগোতে ভয় পান না
-আমাকে তুমি ক্ষমা করে দিও, স্বামী হিসেবে তোমাকে কিছুই....
নেহা থামিয়ে দিল।
-আপনাকে আর কিছু বলতে হবেনা, অনেক রাত হয়েছে (বিছানা গুছাচ্ছে), ঘুমিয়ে পড়ুন
-আর তুমি?
-ঘুমাবো, আপনি গুমিয়ে পড়ুন
(২ রাকাত নামায পড়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, তারপর নেহা...)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন