রবিবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১৬

ধর্ষণ কি ?

ধর্ষণ সম্পর্কে আমরা জানিনা, এমন মানুষ সমাজে খুব কমই আছি।আজকের সমাজের অহরহ ঘটনার মধ্যে এটি অন্যতম। এটি চলছে আর চলবেও হয়ত....আগামী তে
ধর্ষণ করে একা পুরুষ কিন্তু ধর্ষিত হয় নারী, বোন,মা। জোরপূর্বক নারীদের সাথে সম্পর্ক করতে চাইলে সেটা তখন আর সম্পর্ক থাকেনা,হয়ে যায় ধর্ষণ ; যার চিহ্ন স্বরুপ নারীর শরীরে লেগে থাকে পুরুষের হাতের,নখের দাগ।এসব দেখে আমরা সহজে বুঝে নেই-নিশ্চয় কোনো ধর্ষক এই নারীকে ধর্ষণ করে ধর্ষিত বানিয়েছে।
শুধু কি শরিরে হাত,নখের দাগ পেলেইই ঐ নারী ধর্ষিত? না,শুধু তাই নয়।দেশের ৯০% নারী যারা বিদেশী অপসংস্কৃতিকে অনুসরন করে বড় হচ্ছে তাদের গায়ে কোনো দাগ না থাকলেও তারা ধর্ষিত হচ্ছে প্রতি নিয়ত।
বিদেশী সংস্কৃত আমাদের দেশের অগ্রভাগ পর্যন্ত উঠে গেছে।রাস্তায় মেয়েদের আধুনিক পোশাক, বাহার, নিশ্চয় প্রশংসনীয় নয়।

একটা মেয়ে যখন রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে, গায়ে উড়না নেই।ঐ মেয়েটি নিজেও জানেনা রাস্তা দিয়ে হাটার সময় কতজন পুরুষের কুদৃষ্টি দ্বারা সে ধর্ষিত হয়েছে।কতজন পুরুষ তাকে তাদের সাংগলীলায় সংগীনি বানিয়েছে।
একটা সুন্দরি মেয়ে যখন নিজেকে প্রদর্শনী করে রাস্তায় বের হয়,তখন শত পুরুষ তার সৌন্দর্যরূপ নিয়ে কল্পনায় বিলাসিতা করে।এতে হয়ত এদের গায়ে কোনো দাগ পড়েনি,কিন্তু তার সৌন্দর্যে একটা দাগও যে লাগে নি,কে বলতে পারবে? তার সৌন্দর্য তার অজান্তেই ধর্ষিত হয়ে গেল।
কোনো ছেলে যখন নিজের পুরুষত্ব কে বাইরে প্রকাশ করে,হাজার মেয়ে নিজেদের ফ্যান্টাসি তে সেই ছেলের পুরুষত্ব টাকে নিয়ে নিজেদের ফ্যান্টাসি টাকে উপভোগ্য করে তুলে।মেয়েটি তার পুরুষত্ব কে নিয়ে ছেলে খেলা,আই মিন ধর্ষণ করলো অথচ সে পুরুষ সেটা টের ও পেল না।
ধর্ষণ শুধু লোকারণ্যের বাইরে হয় না,ধর্ষণ কেবল একজন পুরুষ একজন মহিলা কিংবা একাধিক পুরুষ একজন মহিলাকে করে না; সবচেয়ে বড় ও লজ্জাকর ধর্ষণ ঘটে শত লোকের ভীড়ে,হাজার জনতার মাঝের সভায় যেখানে একই ব্যক্তিকে একই সময়ে শত লোক ধর্ষণ করে।
ধর্ষিত হয় নারী,ধর্ষিত হয় পুরুষ, ধর্ষিত হচ্ছে সমাজ।নিজেদের অজান্তেই, নিজেদের মুর্খামি আমাদের ধর্ষিত করছে।
ইসলাম কি বলে? একজন পুরুষ কেবল তার সংগীনি এবং একজন মহিলা কেবল তার স্বামীরর প্রাপ্য।তাছাড়া নিজের সৌন্দর্য ব্যক্তি বিশেষে প্রকাশ করার জন্যে রয়েছে জোর।
আমরা নিজেদের সৌন্দর্য বাইরে প্রকাশ করি বলেই তা ধর্ষিত, নিজেদের রাস্তায় মেলে ধরি বলেই অন্যরা এগিয়ে আসে,নিজেদের পন্য হিসেবে মেনে নেই বলেই অন্যরা ঊপভোগ করে।
দোষ কখনো ধর্ষণকারীর নয়,দোষ হলো ধর্ষিতার।
একটু সচেতনতা,ইসলামিক বিধান মেনে চলার মানসিকতাই পারে নিজেকে রক্ষা করতে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন