শুক্রবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৬

প্রতিক্ষা

সবুজ শ্যামল ধানক্ষেতের মাঝ।
ছোট সরু পথ,
পরে গেলেই একগাদা কাদার মধ্যে অসহ্য যন্ত্রণার একটা তীব্র অনুভুতি।
পা দুটোকে কাদায় ছুয়ে নিলেও মন্দ হত না!
কপালের কালো টিপটা-শাড়ীর সাথে মিলিয়ে যেটা পড়া ;সরে গেলো না তো!
আচমকা হাত দিয়ে নিশ্চিত।

দক্ষিণা বাতাস,মৃদু মৃদু বইছে।
আলতো করে ছুঁয়ে যাচ্ছে যেন!
দুরের ঐ বটগাছটায়-এক ঝোপ ডাল পালা ইশারায় ডেকে যাচ্ছে!
চড়ুইপাখি গুলো মনের আনন্দে নিজেদের মধ্যে লুকোচুরি করতেই ব্যস্ত।
ঐ দিগন্তের শেষ সীমান্তে,ছোট ছনের ঘরটা- যার ছাউনি লতা পাতার এক অনবদ্ধ সংমিশ্রণে; নিঃসংগ একাই দাড়িয়ে প্রবাহিত সময়কে আহবান করে যাচ্ছে।।
শাড়ীর ভাজটা ঠিক আছে তো?
মনের মাঝে ভয়।
তরুলতাগুলো দলবেঁধে আপন মনে জেগে আছে।
কত শান্ত ওরা! কোথাও বিশৃঙ্খলার একটু খানি ছাপ খুঁজে পাওয়া ভার'
খালি পায়ে একবার হেটেই দেখা যাক না!
এর চেয়ে সুখকর তৃপ্তি আর কোথাও কি পাবো!
তার পাশেই কলাগাছ ৩টা,
কিভাবে এতটা সময় এরা দাড়িয়ে?
কার জন্যে তাদের এ অপেক্ষার প্রহর গুনা!
জানতে হবে...
চুলগুলো এভাবে মুঠিবদ্ধ রাখা বোধহয় আর উচিত হচ্ছেনা।
খুলেই দেখি!
ক্ষতি কি?
আর হলেই বা!
তাতে কি!
বাতাসের সাথে ছন্দে ছন্দে তাল মিলিয়ে না হয় একটু দোল খেলোই।
এ কি!
সাদা বকের দল বিশ্রাম করছে নাকি?
তারা কি ক্লান্ত!
তাদের দীর্ঘ ,শক্ত, সুগঠনীয়,আকর্ষণীয় ঠোট যুগল কেন কোনো নিষ্পাপ মৎস কণাকে আক্রমণ করছে না!
কেনো তাদের এ বিড়ম্বনা!!
দেখতে খুব ইচ্ছে করছে।
শত স্বপ্ন বুনে যাচ্ছি।
কখন পুরন হবে? অপেক্ষা করি?
হ্যা-রাজি আছি।।
কিন্তু সে কোথায়?
যার জন্যে আমার এ প্রতিক্ষা!
না,আজ আর রাগ হচ্ছেনা।
দেরি হোক না!
আরো দেরি হোক!
এই অপার সৌন্দর্যে গা ভাসিয়ে দেওয়ার মাঝে যে সুখ তা এত সহজে হারাতে মন সায় দিচ্ছে না""
ইসস,,
তার কাছে যদি এক পলকেই নিমেষের মধ্যে উড়ে যেতে পারতাম!!!
বলে আসতাম-
এখনি এসো না তুমি।আমি অপেক্ষা করতে চাই,এখানে দাড়িয়ে সহস্র বছর।
নিজেকে বিলীন করে দিতে চাই এই মনকারা দৃশ্যে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন