_পুজার সাথে তুমার কিসের সমর্পক?
_মানে?
_কোনো বনিতা করবেনা,সত্যি টা স্বীকার করো।বলো ও তুমার কি হয়?
_ও আমার কলিগ,এছাড়া আর কি?
_ওও শুধু কলিগ? আমাকে বোকা পাইছো? আমি কিছু দেখিনি ভেবেছো! সব দেখেছি
_সত্যি বলছি ওর সাথে আমার কোনো সমর্পক নেই।আর তুমি কি না কি দেখেছো!
_ঐ দিন তুমরা রিকসা দিয়ে বেড়াচ্ছিলে,আর আমাকে বললে অফিসে তুমি! কাল রাতেও তুমরা একসাথে রিক্সায় ছিলে!
_তুমি ভুল বুঝতেছো আমাকে
_এতদিন ভুল ছিলো আজ ঠিক আছে।এই সম্মান দিলে আমার ভালবাসার?
_আমার কথা শুনো প্লিজ
_না,আর কিছু শুনার নেই।আজ থেকে কোনো প্রকার যোগাযোগ আমাদের মধ্যে আমি অন্তত চাই না।আর যদি ভুলেও চেস্টা কর,তারপর বাকিটা.....
বলেই চলে গেল সাথী।
পুজা শুধুই আমার কলিগ,আমরা একসাথে কাজ করি।ঐ দিন দুজনের ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে যাওয়ায় আমি একটা পুরুষ মানুষ হয়ে কিভাবে একটা মেয়েকে রাতে একা ছেড়ে দেই! দুজনের একি পথে বাড়ি তাই শুধু ওকে নামিয়ে দিলাম। আর একদিন তো আমাদের একি জায়গায় কাজ পড়ে যাওয়ায় অফিস থেকে এক জায়গায় পাঠিয়েছে।আর কিচ্ছু না!
তুমার দেখার মাঝে যে কতটা ভুল ছিলো সেটা অন্তত আমাকে একটা বার বুঝানোর সু্যোগ দিতে তুমি!
ভাবতে ভাবতে চোখের পানি মাটি স্পর্শ করে ফেলেছে তাওহিদের।
আমি তুমাকে ভালবাসি সাথী ' তুমাকে ছাড়া আমি আর কাউকে আমার পাশে কখনো ভাবিনি তুমি বিশ্বাস করো।আমি তুমার জন্যে অপেক্ষা করবো, যদি আমার ভালবাসা সত্যি হয় তুমি একদিন আমার হবে...
এসব ভেবে কেঁদে কেঁদে চোখের পাতা লাল টুকটুকে হয়ে গেছে।।।
প্রায় এক সপ্তাহ কেটে গেল,তাওহিদের কোনো খবর নেই।
অফিসে যাচ্ছে না এমন কি এখন আর ওকে পার্কে হাটতেও আসতে দেখছিনা।
না আর না,একবার কল দিয়েই দেখা যাক।
অফিস থেকে তাওহিদের নাম্বার নিয়ে কল দিলো পুজা..
_কি ব্যাপার তাওহিদ দা তুমি কেমন আছো?
_ভাল(মলিন সুরে)
_কাজে আসো না কেন?
_কাল থেকে আসবো
_সত্যি তো
_হ্যা
_আচ্ছা বাই
চোখের নিচে কালো কালো ছোপ পড়ে গেছে,শরীর এর অবস্থাও বেশি ভাল না।
পুজা সাথীরর ব্যাপারটা সব জানতো
তাই তাওহিদকে দেখেই..
_দা,তুমি কি অসুস্থ?
_না তো কেন?
_মিথ্যে বলছো কেন দা,তুমি তো জানোই আমার থেকে কিছু লুকানো যায় না
_কিচ্ছু হয়নি,বিশ্বাস করো
_না হয়েছে,সাথীর সাথে জগড়া করছো?
_(কান্না কান্না ভাব ) না,আর কখনো জগড়া হবেনা আমাদের
_মানে?
_(কি ভেবে যেন সব খুলে বলল তাওহিদ,মনে হচ্ছে অনেক বড় এক বোঝা নামলো কাদ থেকে-ভাবছে তাওহিদ)
_আরে চিন্তা করো না,সব ঠিক হয়ে যাবে(এমন ভাবে বলল যেনকিছু হয়নি)
_হুম
পুজা ধর্মে সনাতনী। মাত্র স্কুলের গন্ডি পেরিয়েছে,পরিবার বড় হওয়ায় বাধ্য হয়েই চাকরিতে ঢুকেছে।
দেখতে কালো,চেহারা টা মাশাল্লাহ,শত মায়ার বাধনে যেন তার মুখটা তৈরী হয়েছে।
কথা বলতে খুব ভালবাসে,মনের মাঝে হাজার কষ্ট নিয়েও হাসে।।।
সাথী চলে যাওয়ার পর থেকে তাওহিদের চলা ফেরা সবকিছুর একমাত্র বন্ধু পুজাইই হয়ে গিয়েছিল।
একসাথে অফিসে যাওয়া আসা,খাওয়া একত্রে হতে লাগলো।
একদিন হঠাত করেই পুজা অফিসে আসেনি।
তাওহিদ অফিসে পোছে পুজাকে খুজতে লাগলো পাগলের মত,
খুজে না পেয়ে কল দিতে থাকলো কিন্তু পুজা কল রিসিব করলো না।।
তাওহিদ যেন দিশেহারা হয়ে গেল ওকে ছাড়া,
সারাদিন পেরিয়ে গেল পুজার কোনো খবর নেই।
ওর জন্যে এত খারাপ লাগছে কেন আমার? সাথীরর জন্যে যতটা টেন্স হত,সেই একি টেন্স কেন পুজার জন্যেও হচ্ছে! হুম না,আমি পুজাকে ভালবেসে ফেলেছি,থাকতে পারবোনা ওকে ছাড়া।একজন কে হারিয়েছি,আর হারাতে পারবো না ওকে। কালই ওকে বলবো সব,আমি ওকে বিয়ে করতে চাই...
তাওহিদের ভাবনার মাঝে বিরক্তি ঘটিয়ে হঠাত ই একটা মেসেজ আসলো ফোনে-তাওহিদ দা,প্লিজ কাল সকালে তুমার সাথে দেখা করতে চাই
উত্তরে শুধু হুম আর সময় বলে দিল তাওহিদ।।।
রাত পেরিয়ে রংগিন সূর্যের আহবানে সকালের আগমন ঘটলো...
_এই নাও এটা আমার দরখাস্ত,আমি আর চাকরি করবোনা
_(অবাক) কেন?
_আমাকে গতকাল দেখতে আসছিলো,আম্মু চাচ্ছে আমাকে বিয়ে দিয়ে কাধ থেকে তার বুঝা নামাতে(কেদে দিল বলতে বলতে)
_সেই বুঝাটা যদি আমি নিতে চাই?
_(অবাক) কি বললে?
_হে,আমি তুমাকে ভালবাসি পুজা।তুমাকে হারাতে পারবো না আমি
_কিন্তু সমাজ! আমাদের পরিবার!এটা কখনো মেনে নিবেনা
_তুমি আমাকে ভালবাসো?
_কিন্তু আমি দেখতেও ভাল নই,তুমি আরো সুন্দর মেয়ে পাবে
_তুমাকে ত পাবো না
_তুমার পরিবার?
_ওসব দায়িত্ব আমার।তুমি পারবেনা আমার হাত ধরতে? আমাকে বিশ্বাস করতে? আমার জন্যে পরিবার, ধর্ম ভেদাভেদ ভুলে যেতে?
_হুম পারবো, আমিও তুমাকে অনেক ভালবাসি
ভালবাসার জন্যে পুজা থেকে হয়ে গেল খাদিজা।সে হয়ে গেল মুসলিম। পরিবার,সমাজ সব ছেড়ে নতুন পরিচয় গ্রহন করলো খাদিজা।
চলতে লাগলো সুখের সংসার তবে সেটা কেবল ঘরের মধ্যে তাওহিদের ভাবনা।খাদিজা হিন্দু ছিল বলে শ্বাশুরি ননদ কখনো তাকে মেনে নিতে পারলোনা,তবে প্রতিটা কাজ খাদিজা করতো, তবু নানা কটু বাক্য শুনতে হত।তাওহিদ রাতে ফিরে ঘুমাতো,খাদিজা কখনো তার মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতো না। সব সয়ে নিত, শুধু এটা ভেবে যে তার স্বামি তাকে ভালবাসে ।
খাদিজার এখন ৯মাস চলছে,তাওহিদের পক্ষ থেকে তার বাচ্চার মায়ের যত্নের কমতি নেই।
কিন্তু এ কি! আজ ক দিন ধরে ও বাসায় ফিরতে দেরি করছে কেন?
খাদিজা ভাবলো জিজ্ঞাস করবে।
হুম, ২দিন আগে হঠাতইই সাথীর সাথে দেখা হলো তাওহিদের।সাথি এখন ওকে ফিরে পেতে চায়,বিয়ে করেছে এটা জানা সত্বেও।
তাওহিদ ইদানিং সেখানেই ব্যস্ত,পুরোনো প্রেম নতুন করে ধরা দিয়েছে।আবেগ যেন ঘিরে ধরেছে অকে আর তার স্ত্রী যে আছে সেটাই তার মাথায় এখন আর আসছে না।
আজকাল সেখানেই ব্যস্ত।
খাদিজা একদিন ওর শার্ট ধুতে গিয়ে চুল দেখে বুঝলো হুম কিছু একটা ব্যাপার আছে,তবু কিছু বলল না।শুধু নিরবে না বুঝার ভান করে যেতে লাগলো।
রাত ১২টা, বাসায় ফিরেছে তাওহিদ।
খাদিজা তখনো জেগে।
_তুমি এখনো জেগে কেন?
_তুমার জন্যে অপেক্ষা করছিলাম
_তুমাকে একটা কথা বলার ছিল
_আমি সেটা শুনার জন্যেই জেগে
_সাথী কে আমি অনেক ভালবাসি
_জানি
_আমি ওকে চাই
_হুম
বলেই পাষন্ড তাওহিদ চলে গেল শুতে।আর খাদিজা কাঁদছে এটা ভেবে-কার জন্যে পরিবার, ধর্ম সব ছেড়েছি? কাকে ভালবেসে বিশ্বাস করেছি? আল্লাহ তুমি বলে দাও আমি কি করবো এখন।
খুব কিউট একটা মেয়ে হয়েছে। প্রতিদিন তাওহিদের দেরি করে আসা যেন নিরবে আঘাত দিতে দিতে মেরে ফেলতে লাগলো খাদিজা কে। তাই একদিন একটা চিঠি লিখলো-আমি তুমাকে ভালবাসি,আমি আর আমার মেয়ে তুমার বাধা। চাইনা এভাবে বাধা হয়ে থাকতে,তাই চলে গেলাম। আজ থেকে তুমি স্বাধীন।
ততক্ষণে তাওহিদ ও একা,কারন সাথী ও তার পরবর্তী বি এফ কে পেয়ে চলে গেছে।।।
তাওহিদ শুধু এখন কাঁদছে....
_মানে?
_কোনো বনিতা করবেনা,সত্যি টা স্বীকার করো।বলো ও তুমার কি হয়?
_ও আমার কলিগ,এছাড়া আর কি?
_ওও শুধু কলিগ? আমাকে বোকা পাইছো? আমি কিছু দেখিনি ভেবেছো! সব দেখেছি
_সত্যি বলছি ওর সাথে আমার কোনো সমর্পক নেই।আর তুমি কি না কি দেখেছো!
_ঐ দিন তুমরা রিকসা দিয়ে বেড়াচ্ছিলে,আর আমাকে বললে অফিসে তুমি! কাল রাতেও তুমরা একসাথে রিক্সায় ছিলে!
_তুমি ভুল বুঝতেছো আমাকে
_এতদিন ভুল ছিলো আজ ঠিক আছে।এই সম্মান দিলে আমার ভালবাসার?
_আমার কথা শুনো প্লিজ
_না,আর কিছু শুনার নেই।আজ থেকে কোনো প্রকার যোগাযোগ আমাদের মধ্যে আমি অন্তত চাই না।আর যদি ভুলেও চেস্টা কর,তারপর বাকিটা.....
বলেই চলে গেল সাথী।
পুজা শুধুই আমার কলিগ,আমরা একসাথে কাজ করি।ঐ দিন দুজনের ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে যাওয়ায় আমি একটা পুরুষ মানুষ হয়ে কিভাবে একটা মেয়েকে রাতে একা ছেড়ে দেই! দুজনের একি পথে বাড়ি তাই শুধু ওকে নামিয়ে দিলাম। আর একদিন তো আমাদের একি জায়গায় কাজ পড়ে যাওয়ায় অফিস থেকে এক জায়গায় পাঠিয়েছে।আর কিচ্ছু না!
তুমার দেখার মাঝে যে কতটা ভুল ছিলো সেটা অন্তত আমাকে একটা বার বুঝানোর সু্যোগ দিতে তুমি!
ভাবতে ভাবতে চোখের পানি মাটি স্পর্শ করে ফেলেছে তাওহিদের।
আমি তুমাকে ভালবাসি সাথী ' তুমাকে ছাড়া আমি আর কাউকে আমার পাশে কখনো ভাবিনি তুমি বিশ্বাস করো।আমি তুমার জন্যে অপেক্ষা করবো, যদি আমার ভালবাসা সত্যি হয় তুমি একদিন আমার হবে...
এসব ভেবে কেঁদে কেঁদে চোখের পাতা লাল টুকটুকে হয়ে গেছে।।।
প্রায় এক সপ্তাহ কেটে গেল,তাওহিদের কোনো খবর নেই।
অফিসে যাচ্ছে না এমন কি এখন আর ওকে পার্কে হাটতেও আসতে দেখছিনা।
না আর না,একবার কল দিয়েই দেখা যাক।
অফিস থেকে তাওহিদের নাম্বার নিয়ে কল দিলো পুজা..
_কি ব্যাপার তাওহিদ দা তুমি কেমন আছো?
_ভাল(মলিন সুরে)
_কাজে আসো না কেন?
_কাল থেকে আসবো
_সত্যি তো
_হ্যা
_আচ্ছা বাই
চোখের নিচে কালো কালো ছোপ পড়ে গেছে,শরীর এর অবস্থাও বেশি ভাল না।
পুজা সাথীরর ব্যাপারটা সব জানতো
তাই তাওহিদকে দেখেই..
_দা,তুমি কি অসুস্থ?
_না তো কেন?
_মিথ্যে বলছো কেন দা,তুমি তো জানোই আমার থেকে কিছু লুকানো যায় না
_কিচ্ছু হয়নি,বিশ্বাস করো
_না হয়েছে,সাথীর সাথে জগড়া করছো?
_(কান্না কান্না ভাব ) না,আর কখনো জগড়া হবেনা আমাদের
_মানে?
_(কি ভেবে যেন সব খুলে বলল তাওহিদ,মনে হচ্ছে অনেক বড় এক বোঝা নামলো কাদ থেকে-ভাবছে তাওহিদ)
_আরে চিন্তা করো না,সব ঠিক হয়ে যাবে(এমন ভাবে বলল যেনকিছু হয়নি)
_হুম
পুজা ধর্মে সনাতনী। মাত্র স্কুলের গন্ডি পেরিয়েছে,পরিবার বড় হওয়ায় বাধ্য হয়েই চাকরিতে ঢুকেছে।
দেখতে কালো,চেহারা টা মাশাল্লাহ,শত মায়ার বাধনে যেন তার মুখটা তৈরী হয়েছে।
কথা বলতে খুব ভালবাসে,মনের মাঝে হাজার কষ্ট নিয়েও হাসে।।।
সাথী চলে যাওয়ার পর থেকে তাওহিদের চলা ফেরা সবকিছুর একমাত্র বন্ধু পুজাইই হয়ে গিয়েছিল।
একসাথে অফিসে যাওয়া আসা,খাওয়া একত্রে হতে লাগলো।
একদিন হঠাত করেই পুজা অফিসে আসেনি।
তাওহিদ অফিসে পোছে পুজাকে খুজতে লাগলো পাগলের মত,
খুজে না পেয়ে কল দিতে থাকলো কিন্তু পুজা কল রিসিব করলো না।।
তাওহিদ যেন দিশেহারা হয়ে গেল ওকে ছাড়া,
সারাদিন পেরিয়ে গেল পুজার কোনো খবর নেই।
ওর জন্যে এত খারাপ লাগছে কেন আমার? সাথীরর জন্যে যতটা টেন্স হত,সেই একি টেন্স কেন পুজার জন্যেও হচ্ছে! হুম না,আমি পুজাকে ভালবেসে ফেলেছি,থাকতে পারবোনা ওকে ছাড়া।একজন কে হারিয়েছি,আর হারাতে পারবো না ওকে। কালই ওকে বলবো সব,আমি ওকে বিয়ে করতে চাই...
তাওহিদের ভাবনার মাঝে বিরক্তি ঘটিয়ে হঠাত ই একটা মেসেজ আসলো ফোনে-তাওহিদ দা,প্লিজ কাল সকালে তুমার সাথে দেখা করতে চাই
উত্তরে শুধু হুম আর সময় বলে দিল তাওহিদ।।।
রাত পেরিয়ে রংগিন সূর্যের আহবানে সকালের আগমন ঘটলো...
_এই নাও এটা আমার দরখাস্ত,আমি আর চাকরি করবোনা
_(অবাক) কেন?
_আমাকে গতকাল দেখতে আসছিলো,আম্মু চাচ্ছে আমাকে বিয়ে দিয়ে কাধ থেকে তার বুঝা নামাতে(কেদে দিল বলতে বলতে)
_সেই বুঝাটা যদি আমি নিতে চাই?
_(অবাক) কি বললে?
_হে,আমি তুমাকে ভালবাসি পুজা।তুমাকে হারাতে পারবো না আমি
_কিন্তু সমাজ! আমাদের পরিবার!এটা কখনো মেনে নিবেনা
_তুমি আমাকে ভালবাসো?
_কিন্তু আমি দেখতেও ভাল নই,তুমি আরো সুন্দর মেয়ে পাবে
_তুমাকে ত পাবো না
_তুমার পরিবার?
_ওসব দায়িত্ব আমার।তুমি পারবেনা আমার হাত ধরতে? আমাকে বিশ্বাস করতে? আমার জন্যে পরিবার, ধর্ম ভেদাভেদ ভুলে যেতে?
_হুম পারবো, আমিও তুমাকে অনেক ভালবাসি
ভালবাসার জন্যে পুজা থেকে হয়ে গেল খাদিজা।সে হয়ে গেল মুসলিম। পরিবার,সমাজ সব ছেড়ে নতুন পরিচয় গ্রহন করলো খাদিজা।
চলতে লাগলো সুখের সংসার তবে সেটা কেবল ঘরের মধ্যে তাওহিদের ভাবনা।খাদিজা হিন্দু ছিল বলে শ্বাশুরি ননদ কখনো তাকে মেনে নিতে পারলোনা,তবে প্রতিটা কাজ খাদিজা করতো, তবু নানা কটু বাক্য শুনতে হত।তাওহিদ রাতে ফিরে ঘুমাতো,খাদিজা কখনো তার মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতো না। সব সয়ে নিত, শুধু এটা ভেবে যে তার স্বামি তাকে ভালবাসে ।
খাদিজার এখন ৯মাস চলছে,তাওহিদের পক্ষ থেকে তার বাচ্চার মায়ের যত্নের কমতি নেই।
কিন্তু এ কি! আজ ক দিন ধরে ও বাসায় ফিরতে দেরি করছে কেন?
খাদিজা ভাবলো জিজ্ঞাস করবে।
হুম, ২দিন আগে হঠাতইই সাথীর সাথে দেখা হলো তাওহিদের।সাথি এখন ওকে ফিরে পেতে চায়,বিয়ে করেছে এটা জানা সত্বেও।
তাওহিদ ইদানিং সেখানেই ব্যস্ত,পুরোনো প্রেম নতুন করে ধরা দিয়েছে।আবেগ যেন ঘিরে ধরেছে অকে আর তার স্ত্রী যে আছে সেটাই তার মাথায় এখন আর আসছে না।
আজকাল সেখানেই ব্যস্ত।
খাদিজা একদিন ওর শার্ট ধুতে গিয়ে চুল দেখে বুঝলো হুম কিছু একটা ব্যাপার আছে,তবু কিছু বলল না।শুধু নিরবে না বুঝার ভান করে যেতে লাগলো।
রাত ১২টা, বাসায় ফিরেছে তাওহিদ।
খাদিজা তখনো জেগে।
_তুমি এখনো জেগে কেন?
_তুমার জন্যে অপেক্ষা করছিলাম
_তুমাকে একটা কথা বলার ছিল
_আমি সেটা শুনার জন্যেই জেগে
_সাথী কে আমি অনেক ভালবাসি
_জানি
_আমি ওকে চাই
_হুম
বলেই পাষন্ড তাওহিদ চলে গেল শুতে।আর খাদিজা কাঁদছে এটা ভেবে-কার জন্যে পরিবার, ধর্ম সব ছেড়েছি? কাকে ভালবেসে বিশ্বাস করেছি? আল্লাহ তুমি বলে দাও আমি কি করবো এখন।
খুব কিউট একটা মেয়ে হয়েছে। প্রতিদিন তাওহিদের দেরি করে আসা যেন নিরবে আঘাত দিতে দিতে মেরে ফেলতে লাগলো খাদিজা কে। তাই একদিন একটা চিঠি লিখলো-আমি তুমাকে ভালবাসি,আমি আর আমার মেয়ে তুমার বাধা। চাইনা এভাবে বাধা হয়ে থাকতে,তাই চলে গেলাম। আজ থেকে তুমি স্বাধীন।
ততক্ষণে তাওহিদ ও একা,কারন সাথী ও তার পরবর্তী বি এফ কে পেয়ে চলে গেছে।।।
তাওহিদ শুধু এখন কাঁদছে....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন